ফরিদপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে ৩ রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। এসময় ২ জন স্থানীয় দালালকেও আটক করা হয়। রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে ফরিদপুর সদরের কমলাপুর এলাকার অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- কক্সবাজার রেংগুট মরিগোনা এলাকার রহমত উল্লাহর পুত্র তৈয়বুর (২৯), মৃত আবুল বাশারের পুত্র আব্দুস সোবহান (৬২), আব্দুস সোবহানের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫২)। এছাড়া দুজন দালাল হলেন-ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার আব্দুল হান্নান খানের পুত্র মো. রাশেদ খান (২৫) ও একই এলাকার মোতালেব মিয়ার পুত্র সিয়াম আহম্মেদ (২৭)। আটক তিন রোহিঙ্গার জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে তা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে কক্সবাজার থেকে ফরিদপুরে আসেন ৩ জন। তারা ফরিদপুরে স্থানীয় দালালের সাথে তিনটি পাসপোর্টের জন্য ৩০ হাজার টাকা চুক্তি করেন। চুক্তিকৃত টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা কম দেয়া নিয়ে প্রথমে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দালাল রাশেদ খান পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের রোহিঙ্গা ভেবে দেড় লাখ টাকা দাবী করেন। এ নিয়ে দালাল মো. রাশেদ খানের সাথে পাসপোর্ট করতে আসাদের বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে পাসপোর্ট করতে আসা ব্যক্তিদের মারপিট করে অফিসের আনসারের হাতে তুলে দেয়া হয়।
রোহিঙ্গা আব্দুস সোবহান বলেন, জন্মগতভাবে তিনি বাংলাদেশী, তার দুই ছেলে মো. নুরুল আফসার এবং মো. ওমর দীর্ঘদিন যাবত সৌদি প্রবাসী। ওমরা হজ্ব এবং ছেলেদের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আব্দুস সোবহান এবং তার স্ত্রী হাসিনা বেগম তাদের সাথে থাকা তার মেয়ের জামাই মো. তৈয়বুর রহমানের সহযোগিতায় ফরিদপুরে দালালের মাধ্যমে পাসপোর্ট করার জন্য আসেন। আব্দুস সোবহান এবং হাসিনা বেগম জন্মগতভাবে বাংলাদেশী হলেও তারা কক্সবাজারের ভোটার না হওয়ায় পাসপোর্ট করতে ফরিদপুরে আসেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক আবু নাঈম মাসুম বলেন, আটককৃত ব্যক্তিদের ডকুমেন্ট পরীক্ষা করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গা এবং ২ জন দালালকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়।
আমারবাঙলা/জিজি