ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। বিসিবির কোচ সোহেল ইসলামের ধারণা, ঘরোয়াতে প্রতিযোগিতা বাড়লেই শুধু ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করবেন।
গত রবিবার সোহেল ইসলাম বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে চায়, তখন তার গড় ভালো হওয়া প্রয়োজন। তাকে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হয়। তবে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সাধারণত কয়েকটি ম্যাচ দেখেই খেলোয়াড়দের সাফল্য বিচার করি। খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা কম। আমাদের যখন ধারাবাহিকতা বাড়বে এবং ঘরোয়াতে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ে তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তারা ভালো করবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘এটার জন্য আমাদের সংস্কৃতি থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে আমরা কীভাবে একজন খেলোয়াড়কে মূল্যায়ন করি? আপনি যদি ভারতে দেখেন, সেখানে ঘরোয়া ক্রিকেট খুবই প্রতিযোগিতামূলক। সেখানে একটি একশ কিংবা দুইশ রানের ইনিংস কোনো ব্যাপার না। আমাদের এখানে দেখা যায় একটি সেঞ্চুরি করলেই আমাদের খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে সন্তুষ্ট হয়ে যায়, কোচ কিংবা আপনারাও। ঘরোয়া ক্রিকেটে কতটা ধারাবাহিকভাবে রান করছেন সেটা আমাদের দেখতে হবে।’
কয়েকদিন আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লিডস টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ভারতের ঋষভ পন্ত। দুই সেঞ্চুরির পরের টেস্টে পেয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরিও। লর্ডসেও ৫০ ছোঁয়া ইনিংস আছে পন্তের। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এমন কিছু দেখা যায় না। যেমন সবশেষ শ্রীলংকা সফরে গল টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু পরের টেস্টের দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন টেস্ট অধিনায়ক।
সোহেল জানান, বাংলাদেশের ব্যাটারদের এখান থেকে বের করার চেষ্টা করছেন। বিসিবির এই কোচ বলেন, ‘বড় রান করা, ব্যাক টু ব্যাক রান করা এগুলো অভ্যাসের ব্যাপার। এটা এমন না যে, এক টেস্টে আমি দুটি সেঞ্চুরি করেছি বলে পরের ইনিংসে আমি রান কর।
আমারবাঙলা/জিজি