চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। লিটন দাসকে ওয়ানডেতে ফেরানো হয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে। কারণ, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে মাঠে আরেকটু বেশি সময় থাকতে দিতে চান নির্বাচকেরা। ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচে একাদশেও সুযোগ পান, কিন্তু ফেরেন শূন্য রানে। আবার নতুন করে শুরু হয় সমালোচনা।
লিটনের ব্যর্থতার দায় কাঁধে তুলে নেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। চারদিকের সমালোচনার চাপ নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলতে নামেন লিটন। এই সংস্করণেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে ৬ রান করে আউট হন লিটন।
সমালোচনা ও চাপ বাড়তে থাকে আরও। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩ রান তাড়ায় নেমে প্রথম বলে উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ২৬ বলে করেন ৩২ রান। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ, লিটন হন সিরিজসেরা।
লিটনের এই পথচলা কাছ থেকে দেখেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে আজ দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তার জন্য এটা সহজ ছিল না। ও যেভাবে সিরিজে আসছিল, ব্যাড প্যাচ (বাজে ফর্ম) একটা যাচ্ছিল। আমরা জানি, আমাদের ব্যাড প্যাচ গেলে, যেহেতু বাংলাদেশের সবাই খুব ইমোশনাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি ট্রল করা হয়। এভাবে ফিরে আসা সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া দলকে, অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। ও নিজের ক্যারেক্টার শো করেছে, আশা করি এবং দোয়া করব, যেন এটা ধরে রাখে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজটি মিশ্রই কেটেছে বাংলাদেশের। প্রথম টেস্ট ড্র করলেও পরের ম্যাচে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপর ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে হারে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে শেষটা যদিও জয়ে রাঙা।
এমন জয়ের পেছনে কোচিং স্টাফকে কৃতিত্ব দিয়েছেন নাফিস, ‘আমাদের কাজই তো এটা। ওদের বিশ্বাসটা ধরে রাখা। কোচিং স্টাফরা আছে-যেকোনো সময়ে, ভালো হোক বা খারাপ, আমাদের কিন্তু ওই ছন্দ রেখেই চলতে হয়। আমি খুবই গর্বিত আমাদের ম্যানেজম্যান্ট যারা ছিল, বিশেষ করে দেশি অনেকে ছিল। কৃতিত্বটা তাদের সবারও।’
আমারবাঙলা/জিজি