জাতীয়

জুলাই অভ্যুত্থানে ১৪২ নেতা-কর্মী শহীদ হওয়ার দাবি ছাত্রদলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হওয়ার দাবি করেছে ছাত্রদল। সংগঠনটির দাবি, এতে আহত ৪ হাজারেরও বেশি। ছাত্রদল নেতারা বলছেন, শুধু হত্যা নয়, তাদের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। যাদের অনেকেই এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন উত্তাল জুলাইয়ের দুঃসহ যন্ত্রণা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর একদিকে গুলি চালায় পতিত স্বৈরশাসকের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীরা। অন্যদিকে চলে গণহারে গুম ও গ্রেপ্তার।

ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবু জাফর গণঅভ্যুত্থানের শুরু থেকেই রাজপথে। পুলিশের হামলার শিকার হয়ে যাত্রবাড়িতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখান থেকে তাকে ২৪ জুলাই তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর ২ দিন গুম রেখে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন।

আবু জাফর বলেন, ‘এমন কেউ নেই যাদের ওপর অত্যাচার বা নির্যাতন করা হয়নি। রুটিন করে, একদিনের রিমান্ড সাধারণত একবার নেয় কিন্তু দেখা গেছে তারা তিন-চারবার জিজ্ঞাসাবাদ করত। টর্চার করত।’

১৭ জুলাই ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ বিক্ষোভ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। চাঁনখারপুল মোড়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে আটকে দেয়। সেখানের একটি হোটেলের রুসে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আধমরা অবস্থায় তুলে দেয় পুলিশের হাতে। এরপর লালবাগ থানায় নিয়েও তাকে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। ৪ দিন গুম করে রেখে তাকে তোলা হয় আদালতে।

মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘জ্ঞান ফেরার পর বলছে আরো মার আরো মার, এটা বলে কয়েকজন চার থাপ্পড় লাথি মারতে থাকে। একজন বলছে যে এই হাতের মাইরে কিছু হবে না, আমার কাছে লাঠি আছে। এটা বলে স্ট্যাম্প নিয়ে এসেছে। এরপর দুই পায়ে ১০–১২টা বেশি সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করে।’

গণঅভ্যুত্থানের শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পালন করেন সক্রিয় ভূমিকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘সেই প্ল্যাটফর্ম থেকেই “কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার” কথাটা। পরে এই স্লোগান রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে ছাত্রদলের ছেলে মেয়েরা যখন তুলল, পুরো দেশেই ছড়িয়ে গেল।’

ছাত্রদলের তথ্যমতে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৪২ নেতাকর্মী শহীদ হন। আহত ৪ হাজারেরও বেশি।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে অথবা জেলা মহানগর ও ঢাকাতে বিভিন্ন স্পটে ছাত্রদলের নেতারা এই আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবং বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী জুলাই আগস্টে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান জুলাই যোদ্ধারা।

আমারবাঙলা/জিজি

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রসুন ক্ষেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় চাচাতো ভাইয়ের হাতে খুন

কুষ্টিয়ায় রসুন ক্ষেতে মুরগি ঢোকাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিরোধের জেরে হাফিজুল...

নরসিংদীর মনোহরদীতে জুয়া খেলার অভিযোগে চারজন আটক 

জে,এম, শাহজাহান মোল্লা, মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: মনোহরদী উপজেলার কাচিকাট...

কুষ্টিয়ায় ৮১ কিলোমিটার এলাকায় বিজিবির তৎপরতা

সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠে...

একই স্থানে সূর্যোদয়–সূর্যাস্ত দেখার অপার সৌন্দর্যের দ্বীপ রাঙ্গাবালী

পটুয়াখালীর সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী যেন লুকিয়ে থাকা এক টুকরো স...

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা আজও নির্ধারণ হয়নি: মিজানুর রহমান

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তিকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ কর...

যথাযোগ্য মর্যাদায় নৌ অঞ্চলসমূহে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সব নৌ অঞ্চলে ম...

বান্দরবানে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্...

ধোবাউড়ায় জামায়াতে ইসলামীর বিজয় দিবস উদযাপন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার(১৬ ডিসেম্বর )বিকাল ২টায় ধোবাউড়া মোহাম্মদিয...

মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে সংবর্ধনা দিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও...

মনোহরদীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবময় দিন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা