কুষ্টিয়ায় অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সুজন মাহমুদ (৩৫) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গতকাল (২৪ নভেম্বর) দুপুরে উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুজন মাহমুদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দূর্বাচারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, সুজন মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় আত্মগোপনে ছিলেন। তার ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবিও দেখা গেছে বলে দাবি করেন তারা।
এছাড়া স্থানীয় সূত্রের দাবি, লিপটন নামের এক ব্যক্তির অস্ত্রভাণ্ডারের সঙ্গে সুজন জড়িত ছিলেন এবং এ ব্যাপারে তিনি ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা মনে করেন, সুজনকে রিমান্ডে নিলে লিপটনের অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। নাসির ইকবাল পাঞ্জু হত্যাকাণ্ডে সুজনের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছিল বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, সুজন একটি রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে দীর্ঘদিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় চলাফেরা করেছেন। তারা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার বরাবর দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ঘটনায় জড়িতদের পুরো চক্র উন্মোচন করা সম্ভব হয়।
এর আগে সুজনের হাতে একটি একে–৪৭ ধরনের অস্ত্র নিয়ে তোলা ছবি তার ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে। বর্তমানে তিনি অস্ত্রটি কোথায় পেলেন তা উদঘাটনে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ওসি মেহেদী হাসান বলেন, সুজন মাহমুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা ছিল এবং ওয়ারেন্ট জারি হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।