কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজন শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার এবং আরও নয়জনকে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
অফিস আদেশ অনুযায়ী, গত ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্ত শেষে সিন্ডিকেটের ২৭১তম (সাধারণ) সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান (রোল ৭০৭৮) সাংবাদিককে তলপেটে আঘাত করা, মোবাইল ফোন রিসেট করে মেডিকেল সেন্টারে ফেলে রাখা এবং প্রক্টর অফিসে মিথ্যা অভিযোগ দাখিলের দায়ে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন। একই বর্ষের রিয়াজ মোর্শেদ (রোল ৭০২০) ঘটনাটিতে সরাসরি সহযোগিতা করায় এবং আফসানা পারভীন তিনা (রোল ৭০৫১) মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে উসকানিতে জড়িত থাকায় তাদেরও একই মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম (রোল ৭০০৪), মিল্টন মিয়া (৭০২৫), মশিউর রহমান (৭০১৩), রাকিব হোসেন (৭০১৬); ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ দত্ত (৭০১৪), মিনহাজুল আবেদীন (৭০০৮), সাব্বির হোসেন (৭০০২), সৌরভ হোসেন সজীব (৭০১৩) এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফরিদুল আলম পান্নাকে সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল অবস্থান নিয়ে জুলাই-৩৬ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. শামছুল হক ছিদ্দিকী বলেন, “শনিবার এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সভা হবে। তবে তারা বৈধ শিক্ষার্থী না থাকায় হলে না থাকার সিদ্ধান্ত হতে পারে।”
অন্যদিকে শহীদ আনাস হলের প্রভোস্ট ড. মো. আব্দুল কাদের বলেন, “এখনও আনুষ্ঠানিক চিঠি হাতে পাইনি। তবে যেহেতু তাদের ছাত্রত্ব নেই, সে ক্ষেত্রে মিটিংয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আমার বাঙলা/আরএ