ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য

দেশের রেমিট্যান্স উৎসের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

আমার বাঙলা ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) পেছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় প্রেরণকারী দেশের তালিকায় উঠে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। গেল তিন মাসে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান। বাংলাদেশ ব্যাংক এমন তথ্য জানিয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গেল ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আসার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর—এই তিন মাসের প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে দেখা যায়, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশে এসেছে। এরপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ডলার।

বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে—সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, আগস্টেও দেশে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় প্রেরণকারী দেশ ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই মাসে দেশটি থেকে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩৪ কোটি ডলার, যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৫ কোটি ডলার বেশি। সেপ্টেম্বরে এসে প্রবাসী আয়ে ইউএইকে পেছনে ফেলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সেপ্টেম্বরে ইউএই থেকে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩৬ কোটি ডলার। একই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে ৩৯ কোটি ডলার। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় কমে যায়। অক্টোবরে দেশটি থেকে আসে ৩৩ কোটি ডলার। নভেম্বরে যা আরও কমে ২৯ কোটি ডলারে নেমে আসে।

তবে গেল কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন। অক্টোবরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি থেকে ৫০ কোটি ডলার এসেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি। আর নভেম্বরে ৫১ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

গত ৫ মাসে রেমিট‍্যান্স বেড়েছে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আর রফতানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার—এমন তথ্য জানিয়ে গেল ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি, এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চার মাসের রিজার্ভ রয়েছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে।’

গভর্নর বলেন, ‘টাকা-পাচার ও ব‍্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরে আসায় অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।’

প্রবাসে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন সবচেয়ে বড় সংকট বলেও মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘সবাইকে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং করতে হবে, নয়তো রাজনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব।’

তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।

আমারবাঙলা/ এসএ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

‘মরব, তাও গাজা ছাড়ব না’

ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড...

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটা

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বা...

সুর পাল্টালেন জেলেনস্কি, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী ইউক্...

সুপেয় পানির কষ্ট, ৩০ ফুট গভীর থেকে সংগ্রহ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়...

সংসার ভাঙছে জাস্টিন-হেইলির

আরো একবার গভীর অন্ধকারে পথে পপ তারকা জাস্টিন বিবার...

৮ স্থলবন্দর বন্ধ করতে চান নৌ উপদেষ্টা

আয় না থাকায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার আটটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে...

একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ বিশিষ্টজন ও জাতীয় নারী ফুটবল দল

ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানে...

প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগেই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত!

নিয়মিত প্রশিক্ষণের আগে ভারতের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬...

শেখ হাসিনাকে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখতে ভারতকে অনুরোধ বাংলাদেশের 

দিল্লিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সাবেক প...

শেখ হাসিনার সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়ায় ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা