চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক অধিকার দমনে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করার অপচেষ্টা চলছে। নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও আতঙ্কজনক।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার একটি পথসভায় ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। এই হামলা কেবল একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়; এটি গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক সহনশীলতার ওপর সরাসরি আঘাত। একটি অশুভ শক্তি ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা কখনোই সফল হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশ বর্তমানে গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বারবার রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে যাওয়ায় অপরাধ প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মহসিন, আনেয়ার হোসেন লিপু, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, এম এ হামিদ, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, নবাব খাঁন, রমজু মিয়া, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, কামরুনেচ্ছা, আবদুর রহিম, মো. আনাস ও শিহাব খালেদ মুন্নাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আমারবাঙলা/এনইউআ