ফাইল ফটো
আন্তর্জাতিক

কলকাতায় তৈরি হবে না ব্রিটানিয়ার বিস্কুট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্বাধীনতার বছর ১৯৪৭ সালে চালু হয়েছিল। স্বাধীনতার ৭৭তম বছরে বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার তারাতলায় অবস্থিত ব্রিটানিয়ার কারখানাটি। সোমবার সেই ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজ। এই মুহূর্তে ওই কারখানায় চাকরি করা কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প দেওয়া হয়েছে এবং সবাই তা মেনে নিয়েছেন বলেও কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ব্রিটানিয়ার প্রথম কারখানাটি চালু হয় মুম্বাইয়ে। এর পরেই কলকাতার তারাতলার কারখানাটি চালু হয়। সোমবার সংস্থার পক্ষে স্টক এক্সচেঞ্জকে কারখানা বন্ধের কথা জানানো হয়েছে। এটাও জানানো হয়েছে যে, সংস্থায় এখন কাজ করেন ১৫০ জন কর্মী। তারা সবাই স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প মেনে নিয়েছেন।

এটিই প্রথম নয়। এর আগে মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের পুরোনো কারখানাও বন্ধ করেছে ব্রিটানিয়া। এবার কলকাতার কারখানা বন্ধ হচ্ছে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মোট ১১ একর জমির উপরে তারাতলার কারখানাটি অবস্থিত। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের লিজ নেওয়া জমিতে কারখানাটি রয়েছে। ২০১৮ সালে শেষ বার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। তাতে জমিটি ২০৪৮ সাল পর্যন্ত সংস্থার হাতেই থাকবে।

এদিকে কেন এই কারখানাটি বন্ধ করা হচ্ছে সে বিষয়ে কোম্পানির পক্ষে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের দাবি, পুরোনো এই কারখানাটি এখন চালিয়ে যাওয়া আর আর্থিকভাবে লাভজনক নয় তাদের পক্ষে।

তারাতলার কারখানাটির সঙ্গে না হলেও, ব্রিটানিয়ার সঙ্গে বাঙালির সম্পর্কে দীর্ঘদিনের। এবং তা এখনও অটুট। বিজ্ঞাপনের ‘দাদু খায়, নাতি খায়, ব্রিটানিয়া থিন অ্যারারুট বিস্কুট’ ‘ক্যাচলাইন’ এখনও মুখে মুখে ফেরে। সংস্থার তৈরি বিভিন্ন স্বাদের বিস্কুট এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীও বেশ জনপ্রিয়। তবে এখন আধুনিক উৎপাদন শুরু হওয়ায় বড় শহরের পুরোনো কারখানাগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আগেই নেয় ব্রিটানিয়া। তারই পরিণতিতে এবার তারাতলার কারখানায় তালা ঝুলতে চলেছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ব্রিটানিয়ার। ২০১৮ সালেই কোম্পানির এজিএম হয়েছিল কলকাতা। সেই সময় কোম্পানির চেয়ারম্যান নুসিল ওয়াদিয়া ঘোষণা করেছিলেন, ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বাংলায় সংস্থার নতুন কারখানা তৈরির জন্য।

প্রসঙ্গত, তারাতলা ছাড়াও বাংলায় আরও একটি উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে ব্রিটানিয়ার। হুগলির ডানকুনিতে সেই কারখানাটি অবশ্য সংস্থার নিজস্ব নয়। অন্যের মালিকানাধীন কারখানায় চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন হয়। সেটি এখনও চালু থাকছে। ভারতের অন্যতম প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী সংস্থা ব্রিটানিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম বাজার পশ্চিমবঙ্গ। সূত্র : আনন্দবাজার

এব/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রাজনৈতিক অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাজনীতি ফায়দা হাসিল করতে নরসিংদী জেলা বিএনপির ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ম...

ভৈরব নদীর পানিতে ডুবে গেছে হাজার হাজার বিঘা ফসলের মাঠ

চুুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের কৃষিকাজে সেচ, মৎস্য চাষ বৃূ্দ্ধি ও এলা...

চূড়ান্ত পর্যায়ে জুলাই জাতীয় সনদ, ঐকমত্যের পথে কঠিন বাঁধা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই জাতীয় সনদ&r...

৫ আগস্টের আগেও জুলাই ঘোষণাপত্র হতে পারে : মাহফুজ আলম

৫ আগস্ট বা এর আগেও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্র...

রেগে গিয়ে রাশিয়ার কাছাকাছি সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশ ট্রাম্পের

রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধকালীন পারমাণবিক অস্ত্রনীতিকে ইঙ্গিত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট...

 ইউনিয়ন পরিষদে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬

‎ঝিনাইদহের শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে তালা লাগিয়ে সচিবকে জোরপূর...

নারায়ণগঞ্জে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পাঠাগারের শুভ উদ্বোধন

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দাতা সড়ক এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যো...

রাজনৈতিক অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাজনীতি ফায়দা হাসিল করতে নরসিংদী জেলা বিএনপির ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ম...

ভৈরব নদীর পানিতে ডুবে গেছে হাজার হাজার বিঘা ফসলের মাঠ

চুুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের কৃষিকাজে সেচ, মৎস্য চাষ বৃূ্দ্ধি ও এলা...

জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি চলছে

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হার্টের বাইপাস সার্জারি শুরু হয়েছে।...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা