জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের ফার্স্ট ইন্সটিটিউট অব ওশানোগ্রাফী (এফআইও), মিনিস্ট্রি অব ন্যাচারাল রিসোর্সেস, চীনের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত সোমবার চীনের চিংডাও শহরে অবস্থিত এফআইও’র প্রশাসনিক ভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। জাককানইবি’র পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান এবং এফআইও’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক প্রফেসর ড. লি লি। চুক্তিতে প্রতিস্বাক্ষর করেন জাককানইবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও এফআইও’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. টিগাং লি।
অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি তুলে ধরেন প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান ও প্রফেসর ড. লি লি। যৌথ গবেষণা সম্ভাবনা বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন জাককানইবি’র পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী এবং এফআইও’র মেরিন জিওলজি ল্যাবের গবেষক ড. শিন শান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এফআইও’র প্রফেসর ড. ইয়ানগুয়াং লিউ, প্রফেসর ড. শেফা শি, প্রফেসর ড. শিলিই জাংসহ বিভিন্ন গবেষক উপস্থিত ছিলেন। পরে উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কপি বিনিময় করা হয় এবং অতিথিদের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে জাককানইবি’র প্রতিনিধিদের এফআইও’র মহাপরিচালক প্রফেসর টিগাং লি প্রতিষ্ঠানটির চায়না ওশান স্যাম্পল রিপোজিটরি ও গবেষণাগার পরিদর্শন করান। এ সময় তিনি বাস্তব গবেষণালব্ধ ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের এ দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এর মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা যৌথ গবেষণা, গবেষণা অনুদান, ফেলোশিপ এবং ভিজিটিং স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
আমার বাঙলা/আরএ