৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে দলটির শীর্ষ দুই পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সম্মেলন ঘিরে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সম্মেলন আয়োজনস্থল জেলা সদরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মোট ছয়জন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাছাড়া জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৮ পৌর কমিটির ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলরের ভোটের মাধ্যমে শীর্ষ দুটি পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দলটির প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলন উপস্থিত থাকতে পারেন।
সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। শহরের স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকা প্রার্থীদের ছবিসংবলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে ভরে গেছে। দুই শর ওপরে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে বিশাল মঞ্চের সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছে ৩০ হাজার বর্গফুটের অস্থায়ী ছাউনি। সম্মেলন ঘিরে দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ–উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘বিএনপি যে একটি গণতান্ত্রিক দল, এ নির্বাচনই তার প্রমাণ। নেতা-কর্মীরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
আমারবাঙলা/এফএইচ