চলতি মাসের ২১ তারিখে হওয়া আকস্মিক ভূমিকম্পের পর নারায়ণগঞ্জজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে জেলার কী অবস্থা হবে—এমন শঙ্কা নিয়ে দিন কাটছে এখানকার মানুষের।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী নরসিংদীর মাধবদী। ফলে জেলার বাসিন্দাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ভূ-বিজ্ঞানীদের মতে, ভূ-পৃষ্ঠের অব্যাহত পরিবর্তন এবং ভূগর্ভের পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়া ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা অসংখ্য ডাইং কারখানায় প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। এতে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জরিপে শহর ও শহরতলিতে পানির স্তর গত বছরের তুলনায় গড়ে ১০ ফুট নিচে নেমেছে। সুপেয় পানির স্তরও নিম্নমুখী হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখছেন।
জনসংখ্যার ঘনত্ব ও পুরান ঢাকার মতো ঘিঞ্জি স্থাপনা নারায়ণগঞ্জ নগরের ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে। শত শত পুরোনো ভবনের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিতভাবে নির্মিত বহু নতুন ভবনও বিপদের মুখে রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে আশ্বস্ত করার মতো কোনো নির্দেশনা বা সতর্ক বার্তা সরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এখনো পাওয়া যায়নি। ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি ঘিরে উদ্বেগ দিন দিন আরো বাড়ছে।
● আমারবাঙলা/এফএইচ