ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে বাড়ির পানে ফেরা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে সড়ক ও রেলপথে। যদিও বেশ নির্বিঘ্নেই ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী। টিকিট ছাড়া প্লাটফর্মে প্রবেশ অধিকার না থাকায় এবারের রেলপথে ভোগান্তি কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সড়কপথের যাত্রী সাধারণের মধ্যেও রয়েছে স্বস্তির ছাপ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, শহরের ব্যস্ততা ফেলে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে স্টেশনে বাড়ছে যাত্রীর ভিড়। যদিও এখন পর্যন্ত চিরচেনা উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়েনি স্টেশনের প্লাটফর্মে। তাইতো যাত্রীদের চোখেমুখে স্বস্তি বিরাজ করছে।
সকাল থেকে নিয়ম মেনে কমলাপুর রেলস্টেশন ছাড়ছে প্রতিটি ট্রেন। যদিও বাড়তি চাপ সামাল দিতে আজ থেকেই চালু হচ্ছে পাঁচ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন। এর বাইরেও রেলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বাড়তি ৪৪টি নতুন কোচ।
যাত্রী ভোগান্তি কমাতে টিকিট ছাড়া প্লাটফর্মে প্রবেশ এবং ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে কমলাপুরের পাশাপাশি জয়দপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনেও তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সোয়া এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাবে। মূলত ঢাকায় ফিরতে দেরি হওয়ায় সামান্য এই বিলম্ব হচ্ছে। তবে ঢাকা থেকে দ্রুত ছেড়ে দিচ্ছি।’
এদিকে, গত কয়েকদিনের তুলনায় সড়কে যাত্রীর চাপ বাড়লেও নেই দৃশ্যমান ভিড়। অলস সময় কাটাচ্ছেন কাউন্টারগুলোর কর্মীরা। কেউ কেউ আবার হাক-ডাক দিয়ে ডাকছেন যাত্রী। ঠিক সময়ে বাস ছাড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। বলছেন, অনলাইনে টিকিট পাওয়ায় ভোগান্তি কমেছে। ফলে আনন্দও দ্বিগুণ বেড়েছে।
র্যাব-৪ এর সিও কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথমস্তরে ২৪টি টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। দ্বিতীয় স্তরে ছিনতাইকারী ও মলমপার্টি থেকে রক্ষা করতে সাদা পোশাকে র্যাবের সদস্যরা কর্মরত আছেন। তৃতীয় স্তরে মোবাইল স্ট্রাইকিং কোর্ট রয়েছে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়। গাড়ি ভাড়া নিয়ে কোনো অভিযোগ পেলে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন সঙ্গে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া শপিং সেন্টার ও বাস টার্মিনালে টহল দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
অন্যদিকে মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশের চার হাজারের বেশি সদস্য।
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            