ইসরায়েলে ভয়ংকর হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার মধ্যরাত ও রবিবার ভোরে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালায় ইরান। এতে দুই শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ২০০ জন। এছাড়াও আরও ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা গেছে। ইরানের সর্বশেষ এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে দ্রুতগতির মিসাইল ও ড্রোন।
এরমধ্যে শুধু উত্তর ইসরায়েলের তামরা শহরে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচজন। নিহতরা আরব ইসরায়েলি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। তারা খাতিব পরিবারের সদস্য। শহরটি ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি অধ্যুষিত।
এছাড়া তেল আবিব নগরীর বাত ইয়াম শহরে ইরানি হামলায় নিহত হয়েছে আরও অন্তত চারজন। তাদের মধ্যে একজন ৬০ বছর বয়সী নারী ও একজন ১০ বছরের শিশু রয়েছে। সেখানে অন্তত ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ‘মাগেন ডেভিড আডম’ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে, রেহেবোতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইরানি হামলায় বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব এবং রামাত গানেও বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেখানকার হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
ইরানের এ হামলার আগে সব ইসরায়েলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তবে এখন তারা সেই নির্দেশনা তুলে দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই আরব শহরটিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি কারণ সেখানে আশ্রয় নেওয়ার মতো খুব বেশি সুবিধা নেই। এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের নাগরিক হলেও তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখে ইসরায়েল। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, বিবিসি, আল-জাজিরা
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            