আগামী বছরের মার্চে শুরু হবে মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে রমজান। প্রতিবারই এই মাসটিকে ঘিরে কিছু বিশেষ প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। বিশেষ করে রোজা পালনে ইফতার ও সেহরিতে যেসব খাবারগুলো লাগে। এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবারটি খেজুর।
আসন্ন রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেইসঙ্গে কমানো হয়েছে শুল্কও। সব মিলিয়ে রমজানের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন এ পণ্যটি আমদানিতে প্রায় ২৫ শতাংশ (২৪ দশমিক ৯ শতাংশ) কম কর ও শুল্ক দিতে হবে আমদানিকারকদের।
ফলে, এবারের রমজানে ভোক্তা সাধারণ বিগত বছরের তুলনায় অনেকটা কম মূল্যে খেজুর ক্রয় করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এই সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের সর্বসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার আমদানিনির্ভর খাদ্যপণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস এবং ক্ষেত্রবিশেষে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। খেজুর একটি আমদানিনির্ভর ফল, যা সবশ্রেণির মানুষের ইফতারের অপরিহার্য উপাদান।
পবিত্র রমজান মাসে খেজুরকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য খেজুর আমদানির ওপর বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ও অগ্রিম কর হ্রাস এবং আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খেজুর আমদানির ওপর বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট করভার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ হতে কমিয়ে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। এই সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর ফলে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় প্রায় ৬০ টাকা হতে ১০০ টাকা কমতে পারে। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর কমানোর ফলে খেজুরের আমদানি বৃদ্ধি পাবে, বাজারে খেজুরের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। এতে খেজুরের বিক্রয়মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে বলে মনে করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর রমজানে খেজুরের মূল্য স্থিতিশীল করার জন্য খেজুর আমদানিতে গত বছরের মতো বিদ্যমান কাস্টম ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ ও সমুদয় আগাম কর ৫ শতাংশ অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            