২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারে বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার বডি-ওয়ার্ন (বডিক্যাম) ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফায়েজ তাইয়্যেব আহমেদ বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশকে সহায়তা করতে ৪০ হাজার বডিক্যাম কেনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এসব য ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করবে।
তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যাম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে পুলিশ কর্মকর্তারা এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো, বিশেষ করে এআই সুবিধা ব্যবহারের বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খুদা বখশ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বরাত দিয়ে এ সব তথ্য জানান।
বৈঠকের বরাত দিয়ে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে এ ক্যামেরা সরবরাহের জন্য যোগাযোগ করেছে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলরা এই ডিভাইস বুকের সামনে ব্যবহার করবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং হাজার হাজার পুলিশ সদস্যকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘যত খরচই হোক না কেন, আমাদের অবশ্যই সব ভোটকেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে গড়ে তোলা।’
আমারবাঙলা/জিজি