আন্তর্জাতিক

জুলাই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল কলকাতায়ও

আমার বাঙলা ডেস্ক

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে মারা যান রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এই ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসে কলকাতার ছাত্রসমাজ। কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে কলকাতায় একের পর এক বিক্ষোভ শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন।

ঢাকায় শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ১৭ জুলাই কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাস অভিমুখে যাত্রার ডাক দেয় বামপন্থি ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন (এআইডিএসও)। মিছিলে বিপ্লবী ছাত্র ফ্রন্ট (আরএসএফ), অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনসহ (এআইএসএ) একগুচ্ছ বাম সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরাও যোগ দেন। কিছুক্ষণ পরই একাডেমি অব ফাইন আর্টসের চত্বর থেকে অনেককে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার লালবাজারে।

কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে সমাবেশের ডাক দেয় এআইডিএসও। পরে মধ্য কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির সদস্যরা। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদানেও বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

বাংলাদেশের অনুকরণে কলকাতায় ছাত্র বিক্ষোভেও নজর কেড়েছিল ছাত্রদের তৈরি পোস্টার, ব্যানার ও গ্রাফিতি। স্লোগানেও আগুন ছড়ায়। ভারত সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ প্রথমবারের মতো প্রত্যক্ষ করেছিল শহরবাসী।

সম্মিলিত বাম ছাত্র সংগঠনগুলোও আন্দোলনে যোগ দেয়। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে। রবীন্দ্র সদন চত্বরে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে। ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে ধর্মতলা থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচির ডাক দেয় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। দূতাবাসের আগে ব্যারিকেড দিয়ে ছাত্রদের আটকানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ একাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে। বিক্ষোভে নেতৃত্বে ছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। কলকাতার পার্ক সার্কাসে সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই কেন্দ্রীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

আইসার রাজ্য সভাপতি ঋতম মাজি বলেন, প্রতিবেশী দেশে যদি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপরে রাষ্ট্রীয় আঘাত আসে তাদের প্রতি সংহতি জানানো আমাদের কর্তব্য।

কলকাতার এই আন্দোলন বিক্ষোভের মধ্যেও চুপ ছিল ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) এবং তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)।

এদিকে গোটা জুলাই আন্দোলনে গণহত্যা প্রসঙ্গে ভারতের গণমাধ্যমগুলো ছিল সম্পূর্ণ নীরব। তবে গণমাধ্যমের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে ৫ আগস্ট থেকে। ওই দিন শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ নিয়ে তারা অপতথ্য ছড়াতে থাকে।

আমারবাঙলা/জিজি

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

 পল্টনে আজ ৮ দলের যৌথ সমাবেশ

অভিন্ন পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা আট দল আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্ব...

ময়মনসিংহে বাসে অগ্নিসংযোগ, ঘুমন্ত চালক নিহত

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছ...

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল সাড়ে ৪ মাস

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র...

১৩ নভেম্বর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির...

কঠোর নিরাপত্তায় ঢাকা, মোড়ে মোড়ে তল্লাশি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্...

পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

পে স্কেল বাস্তবায়নে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর...

আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে সুবর্ণচরে বিএনপির ‘বাজার লকডাউন'

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার খাসেরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুল হক জাহাঙ্গী...

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায়...

জামায়াতের হাতে আওয়ামী লীগের বিচার আমি চাই না: তারেক রহমান

আ. লীগের চেয়ে জামায়াত হাজার গুনে অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন ‘আমজনতার দল&...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা