নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কারও সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, এটাই আমাদের নীতি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে তো দূরত্ব নেই। আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ক্ষেত্রে চীনের একটা ভূমিকা আছে। সেটাকে তো আমরা বাইপাস করতে পারবো না। তাদের সাহায্য আমরা নিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে এটা তো জি-টু-জি প্রকল্প। তাদের সরকারের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
আমরা কারও সঙ্গে শত্রুতা চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, এটাই আমাদের নীতি। ফখরুল সাহেবরা যে অর্থে বলেন সেই অর্থে আমরা আমরা চিন্তা করি না।
তিনি বলেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তারা আমাদের ইলেকশনে এসে ইন্টারফেয়ার করবে। আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, এমন উদ্ভট চিন্তা আমরা করিনি। আমাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে আমাদের দেশের জনগণ, কোনো দেশ বা অন্য কোনো বন্ধু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন সময়মতো হবে, সংবিধান অনুযায়ী হবে। কারও স্বার্থের বশবর্তী হয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে গেলে তখনই বিএনপির চোখের একমাত্র নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা হেরে গেলেই তাদের জন্য নির্বাচন হয়েছে। আমরা কি সুইসাইড করবো নাকি?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তো নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে জিততে চায়। কিন্তু ওই সুবিধাগুলো, এই গ্যারান্টি তাদের কে দেবে? নির্বাচন কমিশন দেবে? যে এই ইলেকশনে তোমরাই জিতবে। এই গ্যারান্টি না দিলে তারা নির্বাচনে আসবে বলে মনে হয় না।
ইলেকশনে তারাই জিতবে, এই গ্যারান্টি পেতে হবে। তা না হলে ফখরুলরা ইলেকশনে আসবে না। তাদের মূলকথা তো এটাই। ক্ষুধায় ক্ষুধায় জ্বলছে তারা। বহুদিনের ক্ষুধা তো।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে কত কর্মসূচি দেখলাম। ডিসেম্বরের ১০ তারিখ থেকে খালেদা জিয়া দেশ চালাচ্ছে। তা কী হয়েছে? তারা তো এ পর্যন্ত কিছু করতেই পারেনি। শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগের গরুর হাট। আন্দোলন করবেন পাবলিক লাগবে।
তারা নেতাকর্মীদের নিয়ে কিছু কর্মসূচি পালন করেছেন। এ দিয়ে বাংলাদেশের সরকারের ক্ষমতায় আসা সম্ভব না। আন্দোলন করতে পাবলিক লাগে। উনসত্তরের মতো কোনো একটা বিস্ফোরণ করেন, তারপর কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। অশান্তি করলে অশান্তির জবাব আছে। সেটা উপযুক্ত জবাব। তারাও প্রস্তুত, আমরাও প্রস্তুত। তারা নির্বাচনে বাধা দিতে প্রস্তুত, আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রস্তুত। দিস ইজ মাই লাস্ট ওয়ার্ড।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            