আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ। আর ক’দিন পরেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। প্রতি বছর এই সময়টায় কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ঈদের ছুটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণে এসেছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের জন্য এবার নতুন বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা-রুপির বিনিময় মূল্য।
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সীমান্তে দীর্ঘ লাইন ছাড়াও ভিসা পেতে বিলম্বসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করেন পর্যটকরা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মানি এক্সচেঞ্জের সমস্যাও।
সম্প্রতি ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশি টাকার পরিবর্তে মার্কিন ডলার নিয়ে গেলেই লাভ হচ্ছে।
বর্তমানে কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের মানি এক্সচেঞ্জ কার্যালয়গুলোতে ১০০ টাকার পরিবর্তে কোথাও ৬৮ দশমিক ৫০ রুপি, কোথাও ৬৯ রুপি, কোথাও আবার ৭০ থেকে ৭১ রুপি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। অথচ বছরখানেক আগেও ১০০ টাকার বিপরীতে মিলতো ৭৫ থেকে ৭৮ রুপি।
বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা তিয়ানা তিসা গত ২৯ মার্চ কলকাতায় ঘুরতে এসেছেন। তিনি জানান, আমি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ৮৬ রুপি পেয়েছি, আর টাকার পরিবর্তে পেয়েছি ৭১ রুপি। তিসা বলেন, আমি এই প্রথমবার কলকাতায় এসেছি। মানি এক্সচেঞ্জ করতে গিয়ে আমার কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক পশ্চিমবঙ্গে আসেন। কেউ কলকাতায় ঘুরতে, কেউ কেনাকাটা করতে, কেউ আসেন চিকিৎসা করাতে। পর্যটকদের পুরো পরিকল্পনা সাজাতে হয় মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর নির্ভর করে।
কলকাতার মার্কো স্ট্রিটের ব্যবসায়ী শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ঈদ একটি বড় উৎসব। তবে ভিসা সমস্যার জন্য মানুষ এখন কম আসছে। রুপির বদলে টাকার দামও অনেকটা পড়ে গেছে। ফলে মানুষের যাতায়াত কমেছে।
তিনি বলেন, এখানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে টাকার বদলে রুপির দাম স্থির থাকে না। কখনো ৬৮, আবার কখনো ৭১ রুপি করে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে রুপির বিপরীতে টাকার মান কী কারণে কম বা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দাম থাকার বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কলকাতার মুদ্রা ব্যবসায়ীরা।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            