নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আগামীকাল (২৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে। চলবে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধুমাত্র এসএমএসের মাধ্যমে এ ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ (রোববার ২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত হয়। এতে ১১ বোর্ডে গড়ে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রকাশিত ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তষ্ট হলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে। অনলাইনে ঘরে বসেই এই আবেদন করা যাবে। বোর্ড তার উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে আবেদন নিষ্পত্তি করবে।
এদিকে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানিয়ে বলা হয়, শুধুমাত্র টেলিটকের প্রিপেইড নম্বর থেকে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা যাবে।
যেভাবে আবেদন-
মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথমে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিনটি অক্ষর লিখতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করতে হবে।
উদাহারণ: RSC DHA 123456 174 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। একাধিক বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে কমা দিয়ে সাবজেক্ট কোড এসএমএস করতে হবে। যেমন- 174, 175, 176।
এসএমএস সেন্ড হলে টেলিটক থেকে পিন নম্বরসহ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে, তা জানিয়ে ফিরতি একটি এসএমএস আসবে। পিন নম্বরটি সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এরপর এতে সম্মত হলে আবারও মেসেজ অপশনে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে ‘পিন নম্বর’ লিখে স্পেস দিয়ে নিজস্ব মোবাইল নম্বর (যেকোনো অপারেটর) লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
উদাহারণ: RSC<>YES<>PIN-NUMBER<>MobileNumberলিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
আবেদন ফি-
বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- প্রতিপত্রের ফল পুনঃনিরীক্ষার ফি ১৫০ টাকা। সে হিসাবে এইচএসসির প্রতি বিষয়ের প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের জন্য ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ দুই পত্রের বিষয়ের ক্ষেত্রে দুটির জন্যই একসঙ্গে আবেদন করতে হবে।
এদিকে, প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে। দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
যা গত বছর ২০২২ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সে হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে, এ বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন। গত বছর ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সেই হিসাবে এ বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৯১৭ জন কমেছে।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            