চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার কাছাকাছি এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহতের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। র্যাব-৭–এর সহযোগিতায় যৌথ অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এর আগে মো. মনির নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে নিহত ইসমাইলের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মনিরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানাধীন মেরিনার্স রোড এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত অপর দুই আসামি রাজু ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি টিপছোরা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
জানা যায়, কয়েক দিন আগে মধ্যরাতে সাইকেল চালিয়ে ফিরিঙ্গী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ইসমাইল। জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে কোতোয়ালি-মুখী সড়কে তিনজন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। এ সময় ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবকের নাম মো. ইসমাইল (৩০)। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায় হলেও তিনি নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় বসবাস করতেন। ইসমাইল নগরীতে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতেন।
আমারবাঙলা/এনইউআ