সংগৃহীত
সারাদেশ

কুড়িগ্রামে বইছে হিমেল হাওয়া, তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়ছে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জনজীবন। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। এ ছাড়া ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়কে। হাসপাতালেও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, দিনের বেলা তাপমাত্রা বাড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীত কষ্টে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষেরা।

অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ আসাদুল বলেন, সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বেশিদূর দেখা যায় না। দিন যতই যাচ্ছে ঠান্ডার মাত্রা বাড়ছে।

কুড়িগ্রাম সদরের ধরলার পাড় এলাকার শিক্ষক আব্দুল হাই জানান, কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে চরাঞ্চল। অনেকেই শীত নিবারণ করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই ক্ষেতমজুররা ধান কাটছেন।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, তার ওয়ার্ডের অধিকাংশ মানুষই খেটে-খাওয়া দিনমজুর। তাদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষ।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলার তাপমাত্রা দিন দিন নিম্নগামী হচ্ছে। ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকাল থেকে রোদ কিছুটা উষ্ণতা ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে জেলাজুড়ে দুই-তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলায় ১৩ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিল্পী বিপাশা গুহঠাকুরতার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বিশিষ্ট নজরুল-সঙ্গীত শিল্পী বিপাশা গুহঠাকুরতার তৃত...

ঢাকায় পরপর ৩ দিন ৩ দলের সমাবেশ

বৃহস্পতিবার (১ মে) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সরকার...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

হিটলারের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল, নতুন তথ্য

এডলফ হিটলার সারাবিশ্বে পরিচিত নাম। তিনি ছিলেন স্বৈ...

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন  ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা