মাহবুব চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে মোনা স্টিল প্রাইভেট লিমিটেড এর আরও একটি কোম্পানির জন্য নির্ধারিত ৪২ বিঘা জমির চলাচলরত একমাত্র রাস্তাটি জোরপূর্বক ভাবে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে অধিগ্রহণ করে কৃষি বিপণন অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসাইন আলী হাসান ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই জমিতে অধিগ্রহণ করেছেন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার বলে বাবর এসেসিয়েশন কাছ থেকে এই কাজ নিয়ে ঠিকাদারি করছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোলে নলকা-সিরাজগঞ্জ মহা-সড়কের সামনে মোনা স্টিল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ৪২ বিঘা জমিতে চলাচলের ৩২ শতাংশ রাস্তাটিতে জোরপূর্বক ভাবে সামনে থেকে অধিগ্রহণ করে কৃষি বিপণন অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মৌজায় ১৯৯১ ও ১৯৯২ দাগে ২০ শতাংশ রাস্তা ব্যবহার করে রঘুনাথপুর গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা চলাচল করে থাকেন।
মোনা স্টিলের কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল মাখলুকাত খোকন জানান, মোনা স্টিলের মালিক হাজী নুরুল ইসলামের সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসানের অন্তোকোন্দলের কারনে। মহা-সড়ক থেকে মোনা স্টিলের জায়গায় প্রবেশের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ২০ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহন করে, কোম্পানির ৪২ বিঘা জমি ব্যবহার অনুপযোগী করে তুলেছে। আমরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে পিছনের জমি ব্যবহার করার জন্য ১৮ ফুট জায়গা চেয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য শক্তি ব্যবহার করে আমাদের জমি সম্পূর্ণ সামনে থেকে অধিগ্রহণ করে নিয়ে ভবন নির্মাণ করছে। আমাদের ১৮ ফুট জায়গা না দিলে অধিগ্রহণের টাকা নেব না।
রঘুনাথপুর গ্রামের হোসেন আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই রাস্তা ব্যবহার করে আসছি। এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে এক কিলোমিটার ঘুরে বাসায় আসতে হবে।
জোর পূর্বক ভাবে আপনারা কেন ভবন নির্মাণ করছেন, এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তানিয়া তিথি চৌধুরী বলেন, আগে কি হয়েছে তা আমরা জানিনা। তবে জমির মালিক টাকা না নিলেও এই জায়গার মালিক এখন আমরা। আমাদের নকশা মোতাবেক কাজ হবে।
কৃষি অফিসের ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, সিরাজগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমাদুল হাসান জানান, যেহেতু বিল্ডিং এর পাইলিং এর কাজ সমাপ্ত হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে আমাদের আর ডিজাইন পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর জন্য অফিস ভবনের দেয়াল নির্মাণ না করে ১৫ ফুট জায়গা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। আমরা আবার ডিজাইন নিয়ে বসবো।
এই বিষয়টি সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি জানান, গ্রামবাসীর এটা যৌক্তিক দাবী। রাস্তা বন্ধ করে কখনই কিছু করা যাবেনা। আমি অতি দ্রুত এই বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি ।
আমার বাঙলা/এমআর
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            