গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশত্যাগের পর রাজধানীসহ সারাদেশে লাগাতার বিক্ষোভে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জুলাইয়ের সব শক্তি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ইস্যুতে অনড় গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলো। বগুড়ায় সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ গণহত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতা।।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা থেকে বগুড়া শহরের সাতমাথার শেরপুর রোড, নবাববাড়ী রোড ও স্টেশন রোড অবরোধ করা হয়। সাতমাথা হয়ে ডিসি বাংলো সড়কে মোমবাতি জ্বালিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। পৃথক জমায়েতে নেতৃত্ব দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুল্লাহ আল সানী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়ার আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এতে নেতৃত্ব দেন বগুড়া শহর ছাত্রশিবির সভাপতি রেজোয়ানুল ইসলাম। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের সঙ্গে অসংখ্য কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছাত্র-জনতা ডিসি বাংলোয় ব্যানার টানিয়ে দুই পাশের সড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ করেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুল্লাহ আল সানী বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না। নির্বাচন-সংস্কার পরে, আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা রাজপথে থেকেই দাবি আদায় করে ঘরে ফিরবো।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান বলেন, আন্দোলনের কারণে শহরে যানজট হয়েছিল। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বর্তমানে যানজট নেই।
আমারবাঙলা/ইউকে