বগুড়ার একটি হাসপাতালে একসঙ্গে চার পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। নবজাতকেরা অনেকটা শঙ্কামুক্ত হলেও চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে চার ফুটফুটে নবজাতকের জন্ম দেন গৃহবধূ জান্নাতি আক্তার জুই (৩৫)। তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহারপুকুর এলাকার সৌদি প্রবাসী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনোয়ারা খাতুন জানান, সফলভাবে সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়। বর্তমানে মা ও চার সন্তান হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। তারা উভয়ই সুস্থ এবং অনেকটা শঙ্কামুক্ত।
প্রসূতির (জুই) খালা মোসলেমা বেগম জানান, শুক্রবার বিকেলে প্রসব ব্যথা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করানো হয়। একে একে জন্ম নেয় চার পুত্র সন্তান। প্রবাসী দম্পতির আগের আট বছরের পুত্র রয়েছে। গত বছর গৃহবধূ সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ পালন করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে কিছুদিন সেখানেই ছিলেন।
একসঙ্গে চার সন্তান গর্ভধারণের বিষয়টি বিরল। এর আগেও বগুড়ায় চার সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন অনন্যা মোদক নামের এক নারী। গত বছরের অক্টোবর মাসে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে চার নবজাতকের জন্ম হয়েছিল। ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ওই নারী বগুড়ায় বসবাস করতেন। এছাড়া গত সেপ্টেম্বর মাসে শেরপুর উপজেলার লাবনী আক্তার নামের এক গৃহবধূ একসঙ্গে তিন কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন।
একসঙ্গে একাধিক সন্তান জন্ম দেওয়া প্রসঙ্গে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মনোজ্ঞ চিত্রলেখা কুন্ডু জানান, বন্ব্যাত্বের চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়, তাতে একের অধিক সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চিকিৎসাবিদ্যামতে, প্রতি ৫ লাখ ১২ হাজার গর্ভধারণে এটি একবার ঘটে। একসঙ্গে দুই থেকে চার সন্তানের জন্ম গর্ভধারণকৃত মা ও চিকিৎসকদের জন্য চ্যালেঞ্জের হয়। এ ক্ষেত্রে মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, রক্তশূন্যতা ও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসবের ঝুঁকি থাকে।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            