ধীর্ঘ ১১ বছর পার হলেও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের বিচার কার্য শেষ হয়নি এখনো। নিম্ন ও উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণা করা হলেও আট বছর ধরে আপিল বিভাগে আটকে আছে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির বিষয়টি।
বিচারকার্যের চুড়ান্ত নিষ্পত্তি এবং রায় কার্যকর না হওয়ায় চরম ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন নিহতের স্বজনরা।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিয়ে সিদ্বিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে খান সাহেব ওসমান আলী ষ্টেডিয়ামের সামনে থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম লিটন, জাহাঙ্গীর আলম এবং অপহরণের ঘটনা দেখে ফেলায় আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তাঁর গাড়ী চালক মো: ইব্রাহিম। ঘটনার ৩ দিন পর ৩০ এপ্রিল ৬ জন এবং ১ মে একজনের লাশ শীতলক্ষা নদীতে ভেসে ওঠে।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা সারাদেশে আলোচিত একটি মামলা। কিন্ত দীর্ঘ এগারো বছর পার হলেও আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না।
বহুল আলোচিত মামলাটি গত এগারো বছরে বিচারের দুটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২২ আগষ্ট ৩৫ আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত।
নিম্ন এবং উচ্চ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও রায় কার্যকর বিলম্বিত হওয়ায় সংশয় প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন- বহুল আলোচিত এই মামলার রায় চুড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আপিলসহ ডেথ রেফারেন্স আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানান এই আইনজীবী।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউর এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, এই মামলা নিয়ে বর্তমান এটর্নী জেনারেলের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির কথা জানিয়েছেন।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            