বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ সাত জনকে সোমবার (১১ নভেম্বর) আদালতে উপস্থিত করা হয়।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানির মাঝে শাজাহান খান বিচারক মেহেদী হাসানের অনুমতি নিয়ে বলেন, আমার বাবা-দাদাসহ আমাদের পরিবারের ছয় জন মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা তিনবারের এমপি ছিলেন। আমি আটবারের এমপি ছিলাম। মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদেরও হাতকড়া পরানো হয়নি। আমাকে যেন হাতকড়া পরতে না হয়।
তাৎক্ষণিক এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমরা আগে দেখেছি, অনেক মন্ত্রী ও এমপিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে সাত ও আট তলায় উঠানো হয়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকতে এটি করেছেন। ক্ষমতায় থাকলে এক কথা, আর ক্ষমতা শেষ হলে আরেক কথা। হাতকড়া ও হেলমেট এগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে পরানো হয়।
এরপর বিচারক মেহেদী হাসান বলেন, আপনাদের বক্তব্য শুনেছি। পরে কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারক চলে যান।
এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হয়। সাড়ে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর তিন থানার পৃথক চার মামলায় সাত জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যারা হলেন সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুস সোবহান গোলাপ, ডিজিএফআইয়ের রেজাউল করিম, যুবলীগ নেতা কবির হোসেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            