বগুড়া শহরে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতার ওপর হামলার ঘটনায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সব রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে শ্রমিকেরা। এদিন দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। দুপুর ১টা থেকে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে বগুড়ার সকল রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। শহরের চারমাথা, ঠনঠনিয়া, হাড্ডিপট্টি, স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষুদ্ধরা লাঠি-শোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়। তারা বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিলেন কর্মজীবী মানুষ। ঢাকাগামী যাত্রীরা আগাম টিকিট সংগ্রহ করেও গন্তব্যে যেতে পারেননি। উত্তেজিত পরিস্থিতিতে শহরের স্টেশন রোডের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন। স্টেশন রোডে বন্ধ রাখা নারিকেলের দুইটি আড়তে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোডে নারিকেল ব্যবসায়ীদের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের বাকবিতন্ডা থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হন দুই শ্রমিক নেতা। তারা হলেন- বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং সদস্য হযরত আলী। তাদেরকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু জানান, দুই নেতাকে অন্যায়ভাবে মারপিট করে আহত করার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছে শ্রমিকরা। হামলায় জড়িতদের তিনদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। দুই শ্রমিক নেতার ওপর হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই নারিকেল ব্যবসায়ী রতনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            