চট্টগ্রাম নগরের ভিআইপি টাওয়ারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের খবর পেয়ে দোকান বন্ধ রেখে পালিয়ে যান বেশির ভাগ কসমেটিকস ব্যবসায়ী। নকল ও নিষিদ্ধ প্রসাধনী বিক্রির অভিযোগে আজ দুপুরে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালালে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
অভিযান শুরু হতেই করিডোরজুড়ে দেখা যায় ছোটাছুটি। হঠাৎ করেই একে একে দোকানের শাটার নামিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যেতে থাকেন অনেকে। কথা বলতে চাইলে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মুখ খুলতে চাননি। তবে কেউ কেউ জানাচ্ছেন, জরিমানা এড়াতেই তাঁদের এমন তড়িঘড়ি সরে যাওয়া।
ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ বলেন, নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর প্রসাধনী বিক্রির বিরুদ্ধে নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, “দোকান বন্ধ করে পালালেও দায় এড়ানো যাবে না। অনিয়ম যাঁরা করছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামনে আরও বড় পরিসরে অভিযান চলবে।”
অভিযানে ‘মেইকআপ ম্যান’ নামে একটি কসমেটিকস দোকানে নিষিদ্ধ প্রসাধনী বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী ব্যবহার করার দায়ে ‘সানন্দ বিউটি পার্লার’কে ১০ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে আরেকটি কসমেটিকস দোকানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সকলকে সতর্কও করা হয়।
জরিমানার আওতায় আসা ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে জানান, দেশজুড়ে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যবিরোধী এমন অভিযান আরও জোরদার করা উচিত।
সচেতন মহল মনে করেন, প্রসাধনীসহ দৈনন্দিন ব্যবহারের পণ্যে ভেজাল বন্ধে শুধুই সরকারি তদারকি নয়, ভোক্তার সচেতনতাও অপরিহার্য।
আমারবাঙলা/এনইউআ