নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানাধীন নিতাইপুর (রহমতপুর) এলাকায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে মোঃ আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, গুরুতর জখম ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার তিন চিহ্নিত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর: ৩৭) রুজু করা হয়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৯ ডিসেম্বর, দুপুর আনুমানিক ১:০০ ঘটিকায়।
মামলার বাদী মোঃ আক্তার হোসেন (৪২), পেশায় একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী এবং নিতাইপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
তিনি তাঁর অভিযোগে ৩ জনের নাম উল্লেখ করেন, তাদের মধ্যে:
১. মোঃ মাহমুদুল হাসান (৫০)
২. মোঃ জুয়েল হোসেন (৩৬)
৩. ইলিয়াস (৪৫)
প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) অনুযায়ী, অভিযুক্তরা সকলে একই এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী আক্তার হোসেনের অভিযোগ অনুযায়ী, অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহায়তায় অভিযুক্তরা বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে তাকে পথরোধ করে। এরপর তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়, যার ফলে তিনি গুরুতর জখম হন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি বাদীর কাছ থেকে নগদ আট হাজার ছয়শত টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় ভুক্তভোগী বলেন, আসামিরা প্রতিদিন বাড়িতে এসে হুমকি, বকাবকি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং সাক্ষীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও বিশৃঙ্খলা করছে; এমনকি আসামিরা আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে।
ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ধারা ১৫৫ অনুযায়ী দায়ের করা এই মামলার ধারাগুলো অত্যন্ত গুরুতর। মামলাটি দ্য পেনাল কোড, ১৮৬০-এর ৫০৬ ধারায় রুজু করা হয়েছে। এই ধারাগুলোর মধ্যে বেআইনি জনসমাবেশ, পথরোধ, গুরুতর আঘাত, ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত এবং বিশেষ করে হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বর্তমানে ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
আমারবাঙলা/এসএবি