দৈনিক জনকণ্ঠে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণহারে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। অবিলম্বে ছাঁটাইয়ের নোটিশ প্রত্যাহার ও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতৃবৃন্দ।
রবিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এই ঘটনার নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে জনকণ্ঠে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের প্রাপ্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে কর্তৃপক্ষ নানা ছলচাতুরি ও টালবাহানা করে আসছে। বকেয়া বেতন চাওয়ায় একের পর এক সাংবাদিককে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। শুধু গত দু’দিনেই কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই অন্তত ২০ জন সাংবাদিক ও কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিরা।
তারা বলেন, সংবাদপত্র পরিচালনায় জনআকাঙ্ক্ষা ও সাংবাদিকদের অধিকারকে সম্মান জানানো অত্যন্ত জরুরি। জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ যদি সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ প্রত্যাহার না করে এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে, তাহলে যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে।
এ বিষয়ে নেতারা আরও বলেন, পেশাগত অধিকার রক্ষায় সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি দিতে দ্বিধা করবে না।
প্রসঙ্গত, পত্রিকাটির একাধিক সাংবাদিক ও কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে, দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়মিত বেতন না দিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন আচরণকে ‘শোষণমূলক’ ও ‘অবমাননাকর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আমারবাঙলা/এফএইচ