আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ থেকে সবশেষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের নেতা প্রণব মুখার্জী। ২০১২ সালের ভারতের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি, পরে হন রাষ্ট্রপতি। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১২ বছর, সরকার বদলেছে তিনবার। কিন্তু আর কোনো পূর্ণ মন্ত্রীর দেখা পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। একযুগ ধরে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব থেকে বঞ্চিত রাজ্যটি।
প্রণব মুখার্জীর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিংয়ের সরকারগুলোতে দু’বার রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন তিনি। রাজ্যবাসীর কাছে সেসবই আজ স্মৃতি।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি বিজেপি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টিতে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার তারা জিতেছে মাত্র ১২ আসনে, খুঁইয়েছে মূল্যবান ছয়টি আসন। এরপরও রাজ্যটি থেকে দু’জনকে প্রতিমন্ত্রী করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
আগের দু’বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও এবার এনডিএ শরিকদের হাত ধরে কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। রোববার (৯ জুন) দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদী। তার পাশাপাশি শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার আরও ৭১ সদস্য। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৩০ জন হয়েছেন, পাঁচজন স্বতন্ত্র দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গে ফলাফল ভালো না হলেও রাজ্যটি থেকে দু’জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তারা হলেন শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের দু’বারের সংসদ সদস্য মতুয়া মহাসংঘের নেতা শান্তনু ঠাকুর। নরেন্দ্র মোদীর আগের মন্ত্রিসভায় নৌপরিবহন ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ নিয়ে টানা দু’বার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হলেন শান্তনু।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রাখা হয়েছে। তবে তাকে পূর্ণ মন্ত্রী না করায় আশাহত হয়েছেন অনেক সমর্থক।
রোববার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বালুরঘাট থেকে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মোদীর মন্ত্রিসভায় প্রথমবার জায়গা পেলেন তিনি।
কিন্তু এরপরও আক্ষেপ রয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের। কারণ, দু’জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হলেও আগের দুবারের মতো এবারও পূর্ণ মন্ত্রী থেকে বঞ্চিতই রইলো রাজ্যটি।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            