কাতারে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী বিমান হামলার পরেও গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাবে কাতার, এমনটাই জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি কম্পাউন্ডে ইসরায়েলের নজিরবিহীন বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন হামাসের শীর্ষস্থানীয় আলোচক খালিল আল-হাইয়ার পুত্র এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। দেশটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধবিরতির আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা রাখে।
এই হামলা মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকে বড় ধরনের বাধার মুখে ফেলে দিয়েছে।
অন্যদিকে গাজা, লেবানন, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় বোমাবর্ষণ চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলি হামলাকে ‘এই অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, ‘প্রকাশ্য এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার কাতারের আছে।’
তবে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুই আমাদের থামাতে পারবে না।’
২০১২ সাল থেকে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তর দোহায় অবস্থিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনেই পরিচালিত হচ্ছে। কাতার যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদ বিমান ঘাঁটির অবস্থানও কাতারে।
হামলার পর হোয়াইট হাউজ জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না এবং তিনি কাতারকে হামলার আগেই সতর্ক করেছিলেন। তবে কাতার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তারা হামলার বিষয়ে কোনো পূর্বসতর্কতা পায়নি। বরং হামলা শুরু হওয়ার পরেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবহিত করেছে।
সূত্র : এএফপি
আমারবাঙলা/এফএইচ