প্রায় দেড়মাস আগে ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরির কথা বলে সৌদি আরবে শ্রমিক পাঠায় বাংলাদেশের রিক্রুট এজেন্সি জেএসকে গ্রুপ। সৌদি আরবে পাঠানোর আগে প্রবাসীদের সঙ্গে চুক্তি ছিল দুই বছরের আকামা করে দিবে, ফাইভ স্টার হোটেলে চাকরি পাবে, ১০ ঘণ্টা থাকবে কর্মঘণ্টা এবং মাসে ১৩শ’ রিয়াল বেতন পাবে।
অথচ চুক্তির কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেনি জেএসকে গ্রুপ। দেড়মাসের অধিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠিয়েছে তারা। দেড়মাসে চুক্তিতে উল্লিখিত কোনো কিছুই ঘটেনি। উপরন্তু টানা দেড়মাস একবেলা, আধাবেলা খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসী এই শ্রমিকেরা।
দৈনিক আমার বাঙলা’র কাছে পাঠানো ভিডিও বার্তায় অন্তত ১৫ জন শ্রমিক জানান, তারা জেএসকে গ্রুপ কতৃক প্রতারনার শিকার হয়েছেন। তাদের সঙ্গে চুক্তির কোনো শর্তই মানছে না প্রতিষ্ঠানটি। একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তারা ‘করছি-করব’ বলে সময় ক্ষেপণ করছেন।
সৌদি আরব থেকে পাঠানো ভিডিও বার্তায় এক প্রবাসী বলেন, “আমরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিদেশে এসেও চুক্তিমতো কাজ কিংবা সুযোগ-সুবিধার কোনোটাই পাচ্ছি না। দেড়মাস ধরে আমাদের এমন একটা জায়গায় রাখা হয়েছে, যেটা বসবাসের অযোগ্য। পর্যাপ্ত খাবার নেই। তাতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমন অবস্থায় জেএসকে গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো আশার বাণী শোনাতে পারছে না। আমরা অসহায় জীবন যাপন করছি এখানে।”
এ ব্যাপারে কথা বলতে জেএসকে গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম শ্রমিকদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমরা যে সৌদি কোম্পানীর মাধ্যমে শ্রমিক পাঠিয়েছিলাম, তারাই আমাদের সঙ্গে চুক্তির বরখেলাপ করেছে। সে কারণেই এই বিপত্তি।”
তিনি বলেন, “আমরা সমস্যাটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই সৌদি কোম্পানীর মালিকের নামে ওই দেশের শ্রম আদালতে আমরা মামলা করেছি। আর আজ (শনিবার) আমি নিজেই সৌদি আরব যাচ্ছি। আশা করছি আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
আমার বাঙলা/ এসএ
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            