অবশেষে গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম পর্যায়ে নির্ধারিত শেষ দফার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ইসরায়েল। অধিকৃত পশ্চিম তীরে আনন্দ আর আবেগঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত পুনর্মিলন শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের ফিরে পেয়ে স্বজনদের চোখে অশ্রু, আনন্দের উচ্ছ্বাসে মুখরিত চারপাশ।
এর আগে, রেডক্রসের মাধ্যমে হামাস থেকে চারজন ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখন মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
হামাসের আগের দফার বন্দিবিনিময় অনুষ্ঠানকে অপমান জনক উল্লেখ করে ৬২০ ফিলিস্তিনির মুক্তি আটকে দিয়েছিল ইসরায়েল।
পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জানিয়েছে, যদি হামাস নির্ধারিত বন্দিদের মৃতদেহগুলো কোনো অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ফেরত দেয়, তাহলে তারা ২২ ফেব্রুয়ারি যেসব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তাদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
হামাসের পক্ষ থেকে এর প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, তারা চারটি মৃতদেহ হস্তান্তর করবে, কিন্তু এর বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিসহ আরও কিছু বন্দিকে একই সময়ে মুক্তি দিতে হবে। তবে ইসরায়েলের অবস্থান হলো, মৃতদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই কেবল মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।
এখন পর্যন্ত ৯৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এই দফায় অন্তত পক্ষে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে, যদিও হামাস হামাস আরও বেশি বন্দির মুক্তি দাবি করে আসছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে আশা আর উদ্বেগের এক মিশ্র অনুভূতি নিয়ে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ ও পরবর্তী ধাপের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে।
আমারবাঙলা/জিজি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            