বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ- ইসকনের তিনজন পুরোহিত গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি তুললেন।
রাজ্যসভার অধিবেশনে মমতা বলেন, “আমাদের প্রস্তাব, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক।”
গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে যে টানাপড়েন চলছে, তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল মমতার এই আহ্বান।
তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।”
কলকাতায় ইসকনের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে সহমর্মিতা জানানোর কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি। ভারত সরকার বিষয়টা রাষ্ট্রপুঞ্জে (জাতিসংঘ) নিতে পারে, যাতে সেখানে শান্তিসেনা পাঠানো হয়।”
ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বিধানসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মমতা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার দল ও রাজ্য সরকারের অবস্থান আবারো স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নেই। তাই তারা কেন্দ্র সরকারের পরামর্শ মেনে চলবেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরেও মমতা সাংবাদিকদের একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যে অবস্থান নেবে তার প্রতি তিনি সমর্থন জানাবেন।
কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ‘চুপ করে আছে’ বলে সোমবার বিধানসভায় অভিযোগ তোলেন মমতা।
তিনি বলেন, “আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল (বিজেপি) বলছে ‘সব আটকে দেব’। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই।”
এনডিটিভি জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সপ্তাহে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মোদীর সঙ্গে ওই বৈঠকের পর জয়শঙ্কর পার্লামেন্টেও এ বিষয়ে বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নিপীড়নের’ বিষয়টি ভারত সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
আমার বাঙলা/এনবি
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            