উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর এখনো ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী সপ্তাহে ঠিক কবে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হবে তাও নির্ধারণ করা হয়নি এখনো।
মাইলস্টোন স্কুলের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের ইংলিশ শাখার অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের ট্রমা এখনো কাটেনি। তাদের জন্য ক্যাম্পাসে তিনজন কাউন্সিসেলিংয়ের জন্য রয়েছেন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা সম্ভব নয়। কবে নাগাদ চালু হবে তা নিয়েও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে হয়তো আগামী সপ্তাহে ক্লাস চালু হতে পারে।
এ দিকে, বিমান বিধ্বস্তের ৫ পাঁচদিন পর আজ শনিবার (২৬ জুলাই) স্কুলের সামনে সাধারণ মানুষের জটলা দেখা যায়। বেশিরভাগই গেটের ফাঁকা অংশ দিয়ে ভেতরটা দেখার চেষ্টা করছেন। তবে আজ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাবা-মায়ের হাত ধরে ক্যাম্পাসে ঢুকছেন। তবে সাংবাদিকসহ উৎসুক লোকজনকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বেলা ১১টার দিকে গলায় স্কুলের পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ সিদ্দিকী। আধা ঘণ্টা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেলা সাড়ে ১১টায় বের হয় জুনায়েদ। এ সময় জুনায়েদ সাংবাদিকদের জানায়, ওদিন বিমান দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ হয়েছিল। মনে হয়েছিল কানের পর্দা ফেটে যাবে। আতঙ্কে সবাই ছোটাছুটি করি। একপর্যায়ে শান্ত হয়ে স্কুলের যে ভবনটিতে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে আসি। দেখি শিশু শিক্ষার্থীদের হাত-পা ছড়িয়ে ছিটে আছে। বহু শিক্ষার্থী আগুনে পুড়ে গেছে। এমন করুণ দৃশ্য বলে বোঝানো যাবে না। এখন রাতে ঘুমাতে গেলে এই দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে ক্লাস-পরীক্ষা দেবো মাথায় আসে না।
আমারবাঙলা/জিজি