সদ্য ঘোষিত জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির ভেতরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত শাকিলের অতীত রাজনৈতিক ভূমিকা, ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ততা এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংগঠনের কয়েকজন সদস্য।
সংগঠনের একটি অংশের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক থাকা অবস্থাও তিনি কোনো দৃশ্যমান কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন না। তাঁদের অভিযোগ, পরবর্তীতে বিভিন্ন লবিংয়ের মাধ্যমে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়কে রাজনৈতিক পরিচিতি তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সোনারগাঁ উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরও তিনি উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারেননি।
কিছু স্থানীয় সূত্রের দাবি, পূর্বের ছাত্রলীগ পটভূমির কারণে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে “আওয়ামী পূর্ণবাসন প্রকল্প” নামে কিছু বিতর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অভিযোগকারীদের দাবি, একাধিক হত্যা মামলার আসামিদের স্বজনদের নিয়ে পূর্ণবাসন দল গঠন, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং ছাত্রলীগ নেতা তায়েব শিকদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জেলা কমিটির এক যুগ্ম আহ্বায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শাকিল সাইফুল্লাহকে আহ্বায়ক দেওয়ার পর কমিটিতে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ৪২ সদস্যের কমিটির ২৬ জনের স্বাক্ষরিত অনাস্থা পত্র কেন্দ্রীয় আহ্বায়কের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।”
সূত্রের দাবি, শাকিল সাইফুল্লাহকে আহ্বায়ক রাখা হলে জেলা কমিটির কার্যক্রম আরও স্থবির হয়ে পড়বে। তাই সাংগঠনিক বিস্তার রক্ষায় তাঁর অপসারণ দাবি করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে শাকিল সাইফুল্লাহর বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমারবাঙলা/এফএইচ