ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কানাডা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি জানিয়েছেন, আসন্ন সেপ্টেম্বরেই এই স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এভাবে গত কয়েক দিনের মধ্যে জি-৭ জোটের তিনটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানাল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে কানাডা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান তিনি। তবে কার্নি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেন, এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কিছু পদক্ষেপের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে—আগামী বছর হামাসকে বাদ দিয়ে নির্বাচন আয়োজন এবং অঞ্চলটি নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
কানাডার এমন ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এটিকে “হামাসকে পুরস্কৃত করার সমান” বলে অভিহিত করেছে।
এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন। ইসরায়েল কিছু শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানান তারা।
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে
আমারবাঙলা/এফএইচ