সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

নিজের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরে বন্দীর আবেদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নিজের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের এক বন্দী। অ্যারন ব্রায়ান গাঞ্চেস নামের এ বন্দী রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতকে আইনি প্রক্রিয়া এড়িয়ে তার মৃত্যুদণ্ড ত্বরান্বিত করার আবেদন করেছেন। তিনি দুই বছর আগেও অ্যারিজোনা সুপ্রিম কোর্টকে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুরোধ করেছিলেন, যাতে বিচার সম্পন্ন হয় এবং ভুক্তভোগীর পরিবারে স্বস্তি আসে। গাঞ্চেসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে অ্যারিজোনায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া দুই বছরের বিরতির পর আবার শুরু হবে।

চলতি সপ্তাহে হাতে লেখা একটি আদালতের আবেদনপত্রে গাঞ্চেস রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে তার মৃত্যুদণ্ড ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কার্যকরের জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করতে বলেন। তিনি ২০০২ সালে বান্ধবীর স্বামী টেড প্রাইসকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

গাঞ্চেস কোনো আইনজীবী নেননি, নিজেই নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি আদালতে বলেছেন, আমার মৃত্যুদণ্ড অনেক আগেই কার্যকর হওয়া উচিত ছিল। রাজ্য এটি কার্যকর করার আইনি প্রক্রিয়ায় দেরি করছে।

অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিস মায়েসের অফিস বলেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তা পূরণে সময়সূচি প্রয়োজন। যেমন লিথাল ইনজেকশনে ব্যবহৃত পেন্টোবারবিটাল ওষুধ পরীক্ষা করার দরকার।

গাঞ্চেসের মৃত্যুদণ্ড ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে গভর্নর কেটি হবসের অফিস জানিয়েছিল, রাজ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী প্রস্তুত করতে পারেনি।

গভর্নর হবস যিনি একজন ডেমোক্র্যাট প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাজ্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া আইন লঙ্ঘন ছাড়াই পরিচালিত হবে এমনটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবেন না। তার নির্দেশে পরিচালিত পর্যালোচনা কার্যত শেষ হয়েছিল নভেম্বর মাসে, যখন তিনি এই পর্যালোচনার দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত ফেডারেল বিচারককে বরখাস্ত করেন।

গাঞ্চেস দোষ স্বীকার করে বলেছিলেন, তিনি তার বান্ধবীর সাবেক স্বামী প্রাইসকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। অ্যারিজোনায় বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১১১ জন বন্দী রয়েছেন। ২০২২ সালে রাজ্যে তিনটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল যা প্রায় আট বছর বিরতির পর আবার শুরু হয়। এই বিরতির কারণ ছিল ২০১৪ সালে একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহে জটিলতা। এরপর থেকে রাজ্য সমালোচিত হয়েছে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য ইনজেকশন প্রয়োগের প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় নেওয়ার কারণে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সুশীলা কারকির উত্থান যেভাবে

নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্...

রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধের ঘট...

১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্য...

আয়ের দিক দিয়ে ফের মেসিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রোনালদো

রেকর্ডের দৌড়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে। কিন্...

সাবালেঙ্কার সাফল্যের রহস্য

সদ্য ইউএস ওপেন নারী এককের শিরোপাজয়ী বেলারুশের টেনিসকন্যা আরিনা সাবালেঙ্কা নিজ...

লন্ডনে বাংলাদেশি মাকে ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য, ছেলের ওপর হামলা

লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি তরুণ। তরুণের ভাষ্য, তাঁর হিজাব পরা মা...

জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, তবু তাঁরা জুলাই শহীদ 

রাজধানীর ওয়ারীতে গত বছরের ১৪ আগস্ট কুপিয়ে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা মো. আল-আমি...

হাত না মেলানো : ভারতের ব্যাখ্যা, পাকিস্তানের প্রতিবাদ

আগা সালমান-শাহিন আফ্রিদিরা হয়তো সেটা ভেবেই মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অপেক্ষায় ছিলেন...

নুরাল পাগলা দরবারে হামলা, গোয়ালন্দে ওসির পর ইউএনওর বদলি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুর‌াল পাগ‌লার দরবার ও বাড়িতে হামলা ও মরদেহে আগু...

বিশ্বের নতুন দ্রুততম মানবী জেফারসন–উডেন

নতুন দ্রুততম মানবী পেল বিশ্ব। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা