নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক কোন ইস্যু না পেয়ে বিএনপি ভারত বিরোধীতা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমল থেকে যে অপপ্রচার শুনেছি, কোনো রাজনৈতিক ইস্যু যখন থাকে না, তখন একটাই ইস্যু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে। আগে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনতো আর এখন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনে। সেটা হচ্ছে ভারত বিরোধীতার ইস্যু।’
শনিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুই হাজার মানুষকে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি ইফতার পার্টি করে, আর আওয়ামী লীগ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। তারা ইফতার খাওয়ার পার্টি করে আর আমরা ইফতার দেওয়ার পার্টি করি। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য। আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণে যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা সারা ঢাকা শহরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতার দল, নিজেদের পকেট উন্নয়নের দল। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় নেই তো, লুটে পুটে হাওয়া ভবন করার সুযোগ নেই। হাওয়া ভবন ছাড়া বিএনপি টিকবে না। কারণ, এই দল ক্ষমতা কেন্দ্রিক দল, মানুষের দল না। জনগণের দল আওয়ামী লীগ, ক্ষমতার দল বিএনপি। এটাই দুই দলের পার্থক্য।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতায় নেতায় কথার মিল নেই। কোনো সুযোগ যখন থাকে না, তখন বিএনপি ভারত বিরোধিতা শুরু করে।
বাংলাদেশের ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার সময় ভারত পাশে ছিল জানিয়ে সেতু মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র সব নেতাই একে একে জেল থেকে বেরিয়ে গেছে। এখন তারা বিদেশ গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে সবক দিচ্ছে।
বাংলাদেশের মানুষ ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়ী করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটা অনেক উন্নত দেশও পারে না। তারপরও বলবে ইন্ডিয়া নিয়ে এসেছে। ইন্ডিয়া কোথায়? আমাদের দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে। তারা আমাদের ভোট দেয়নি, তারা আমাদের ভোট বানচাল প্রতিহত করার জন্য আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন আছে মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেত ুমন্ত্রী বলেন, যদিও এখন কিছু কিছু পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে। পেঁয়াজ ত্রিশ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। দাম আরো কমবে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে আসবে।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সভাপতিন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            