সংগৃহীত
প্রবাস

ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির পর প্রথমবার প্রকাশ্যে টিউলিপ

আমার বাঙলা ডেস্ক

দুর্নীতি, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, টিউলিপ তার ক্ষমতাচ্যুত খালা শেখ হাসিনার এক সহযোগীর কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছেন। যেটির তথ্য তিনি গোপন রেখেছেন। ওই সংবাদ প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার প্রথম প্রকাশ্যে দেখা গেছে টিউলিপকে। সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসে যেতে দেখা গেছে।

ডেইলি মেইল আরো জানিয়েছে, মিথ্যা কথা বলার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। টিউলিপকে ‘প্রতারক মন্ত্রী’ হিসেবে অভিহিত করে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ২০২২ সালে তারা তার ফ্ল্যাট নিয়ে তদন্ত করেছিল। ওই সময় তারা খুঁজে পেয়েছিল এটি আসলে তিনি অন্য একজনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু তখন টিউলিপ মিথ্যা কথা বলেন যে, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে কিনে দিয়েছেন। ওই সময় ডেইলি মেইলকে তিনি হুমকি দেন, এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। এরপর আর এটি প্রকাশ করা হয়নি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ‘মিনিস্ট্রিয়াল কোড’ উপদেষ্টা এখন তদন্ত করবেন, টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে ডেইলি মেইলের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছিলেন কিনা।

ব্যাপক চাপে পড়ার পর টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে ডেইলি মেইলকে যে তথ্য দিয়েছিলেন সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। টিউলিপের রাজনৈতিক দল লেবার পার্টির একটি সূত্রও নিশ্চিত করেছে, টিউলিপের বাবা-মা তাকে ফ্ল্যাটটি কিনে দেননি। এটি আসলে ‘কৃতজ্ঞতার’ অংশ তার খালার সহযোগীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন।

লন্ডনের বিতর্কিত ওই ফ্ল্যাটটি নিয়ে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) তদন্তের মুখেও পড়তে পারেন বলে জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

অন্যদিকে সর্বশেষ ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টাইমস সম্পাদকীয়তে লিখেছে, দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ আর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন না। রুপার্ট মারডকের মালিকানায় থাকা সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়তে টিউলিপকে বেছে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনাও করা হয়।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দ্য টাইমস লিখেছে, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের দায়িত্বে টিউলিপকে বসানোর সিদ্ধান্ত কতটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, তা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সামনে আসা অনেক প্রাসঙ্গিক কারণগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তদন্ত চলাকালে তার সরে দাঁড়ানোই উচিত হবে। তবে তদন্তে যদি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাকে সরকারে ফিরিয়ে আনার পথ খুলে যাবে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেলে সব কাজ বিফলে যাবে: সিইসি

প্রবাসী ভোটিং পদ্ধতি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনদের সমর্থন আশা করেন প্রধা...

কানাডায় জয়ের পথে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি

কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্...

কাশ্মীর সীমান্তে টানা পঞ্চমবারের মতো গোলাগুলি

কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রো...

মহাবিশ্বের কাঠামো কত বড়?

হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল মূলত বিভিন্ন গ...

সাবেক সংসদ সদস্য তুহিনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌ...

উত্তরায় প্রাইভেটকারে অপহরণ; ভিডিও ভাইরালের পর গ্রেপ্তার ২

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় অপহরণে ব্যবহৃত একটি প্রাইভে...

আমাকে চেয়েছিলো যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী বানাতে: ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সরকারের সময় তিনবার...

ভালুকায় সৌন্দর্য বাড়াতে ইউএনও’র ‘নিজ খরচে’ সবুজ বিপ্লব

ভালুকা উপজেলার পরিবেশ সংরক্ষণ ও নগর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নি...

কালীগঞ্জে ফিল্মিস্টাইলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জে...

সড়কহীন  ৩৪ কোটি টাকার সেতু

সেতু আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক করা হয়নি এমন সেতু ফেনীতে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা