নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ছোট করা, অসম্মান করা, খাটো করা মানে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বিতর্ক করার কিছু নেই। এটি বিতর্ক করলে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক করা হবে। যারা বিতর্ক করে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিল, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। এ সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনও কাজ করেনি বরং ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচন ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্যবহার করেছে। এমনকি, যারা গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, তাদের জেলে পুরেছে।
সরকার দেশটাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, এর একটি হলো আওয়ামী লীগ, আর একটি বিরোধী দল। শুধু তাই নয়, বর্ণবাদেরও সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে এদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এসেছিল। গণতন্ত্রের জন্য যা কিছু হয়েছে, তা আমাদের নেতা আর নেত্রীর হাত ধরে হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিচার ব্যবস্থাকে সরকার আজ তছনছ করে দিয়েছে। বিচারের বাণী আজ নিভৃতে কাঁদে। রাষ্ট্রের একটা জায়গাতেও ন্যায় বিচার নেই। তাই, আজ দেশের এই অবস্থায় তরুণদের আরও শক্ত করে জেগে উঠতে হবে। আমাদের কাজ হবে মানুষকে জাগিয়ে তোলা, সংগঠিত করা। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর ধরে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তার পতন নিশ্চিত করা। মনে রাখবেন, সংগ্রাম ও আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            