নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভিনদেশী আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ ও সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত। একদিকে দীর্ঘদিনের ভারতীয় আগ্রাসন। এদেশে কারা সরকারে থাকবে, বিরোধী দল কারা হবে, কে এমপি, মন্ত্রী হবে, কে প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিয়োগ পাবে ঠিক করে দেয় ভারত। আজ সর্বত্র ভারতীয় আধিপত্য।
ভারতীয় আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে আন্দোলন চলছে, তা শহর থেকে গ্রাম, পাড়া-মহল্লা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি এ দেশের সবচেয়ে বড় ভারতীয় প্রডাক্ট আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে।
দেশে ১০ লাখেরও বেশি অবৈধ ভারতীয় লোক রয়েছে দাবি করে নুর বলেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ভারতের পাশাপাশি এখন সমস্যা তৈরি করছে চীন। রাখাইনে চীন, ভারত বিনিয়োগ করেছে। তারা জান্তা সরকারকে সহযোগিতা করছে, বিদ্রোহীদের সাথেও যোগাযোগ রাখছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে না। সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
ভারত তাদের স্বার্থে বিনা ভোটের জনবিচ্ছিন্ন এই সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। বাংলাদেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে নামেমাত্র ফি দিয়ে ট্রানজিটে ভারত তার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় পণ্য পরিবহন করছে। কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ এভাবে দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে অন্য দেশকে সুবিধা দিবে না।
১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর এখন প্রধানমন্ত্রীও বলছেন, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা কারা করছে? সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসন। মাদক যুব সমাজকে গ্রাস করছে।
১৫- ২৫ বছরের ৪১ শতাংশ তরুণ পড়াশোনা বা চাকরিতে নেই, অর্থনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ, ইউরোপ-আমেরিকার পোষাকের ক্রেতা কমছে, নতুন বাজার খোঁজা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনা হয় না। সংসদ এখন ভোট ডাকাতদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। বলেন নুর।
সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আজকাল সরকার জনগণকে কথায় কথায় হাইকোর্ট দেখায়। কিন্তু হাইকোর্ট দেখিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যাবে না। সব কিছুর শেষ আছে, ফেরাউন-হিটলারেরও পতন হয়েছে। সুতরাং আপনাদেরও বিদায় নিতে হবে। বিদেশি প্রভুরা আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            