চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মহানগর বিএনপি। বিবৃতিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, "দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে দেওয়া হবে না"।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজার পাঠানো বিবৃতিতে তাদের অবস্থানের নিশ্চিত করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সদস্য-সচিব নাজিমুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়,
দেশ আজ এক কঠিন সংকটকাল অতিক্রম করছে। গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি রাষ্ট্রের এই ক্রান্তিকালে একটি কুচক্রী মহল বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত।
চট্টগ্রাম বন্দরের লাভজনক স্থাপনা এনসিটি বিদেশি অপারেটরদের নিকট লিজ দিতে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। পতিত স্বৈরাচার সরকার কর্তৃক গৃহীত দেশের স্বার্থবিরোধী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হতে পারে না।
আমরা আরও গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে, গত বছর ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পলায়নের পর থেকে দেশপ্রেমিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
দেশের স্বার্থবিরোধী ও জনগণের অধিকারের বিরুদ্ধে যায় এমন যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমরা দেখতে পাই বিগত স্বৈরাচারের কালো আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল (সাবেক সিবিএ) এর নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে—আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি এ সকল অনিয়মতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আচরণ থেকে ফিরে না আসে তাহলে জনগণ ও শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থে আমরা কঠোর ও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি