আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইনে একটি ব্যস্ত বাজারে সামরিক বাহিনীর গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার (১ মার্চ) এ ঘটনা ঘটেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বর্তমানে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।
আরাকান আর্মির হাইকমান্ড জানায়, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ রাখাইনের রাজধানী ও বন্দরনগরী সিত্তের কাছে একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে সামরিক বাহিনী। ঐ জাহাজ থেকে সিত্তের নিকটবর্তী মিওমা বাজারকে লক্ষ্য করে একের পর এক গোলা নিক্ষেপে জেরেই এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অবশ্য একটি বিবৃতি উল্টো তথ্য দিয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তা। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল মায়াবতীতে সামরিক সরকার বলছে, মিওমা বাজারে গোলাবর্ষণ করেছে আরকান আর্মি। এ হামলায় হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে ২ পক্ষের দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। কারণ গত কয়েক দিন ধরে সিত্তে ও রাখাইনের অন্যান্য শহরে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডেটা প্রবাহ সীমিত করেছে জান্তা। এতে রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত অধিকাংশ তথ্যই জানা যাচ্ছে না।
রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারে সংঘাত ও সহিংসতার চক্র শুরু হয়েছে ২০২১ সালে। তাদের আগের বছর ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।
জান্তার ক্ষমতা দখলের পর ফুঁসে ওঠে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী জনতা। তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করে।
তবে মিয়ানমারের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভ দমনে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করলে ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেয়া শুরু করে।
গত অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে জান্তা বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স (পিডিএফ)।
এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে পিডিএমভুক্ত ৩ গোষ্ঠী ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ)। এ ৩ গোষ্ঠী একত্রে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে পরিচিত।
গত ৪ মাসের সংঘাতে মিয়ানমারের কমপক্ষে ৪০টি শহর ও গুরুত্বপূর্ণ শান প্রদেশসহ অন্তত ৫টি প্রদেশ দখল করে নিয়েছে পিডিএফ। বর্তমানে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশ দখলের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে আরাকান আর্মি। সূত্র: রয়টার্স
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            