আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কেন্দ্রীয় গাজার একটি মসজিদ এবং সেফ হোমে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে আটকে পড়া স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ভয়-আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানকার কাছাকাছি একটি এলাকায় সাত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারপরেই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় চার মাস ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
টানা কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি সৈন্যদের তাণ্ডবে গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ হাজার ৩৬৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬৬ হাজার ৬৩০ জন।
এর আগে রাফায় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ বেশ কিছু স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর রাতভর হামলায় কমপক্ষে ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলার শিকার ওই কিন্ডারগার্টেনে বাস্তুহারা লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় বাসিন্দা আহমাদ বাসাম আল জামাল বলেন, শিশুরা ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ করেই বোমা হামলা চালানো হয়। এতে এক শিশু নিহত হয়েছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে তিন শিশু সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের আগ্রাসনে ৭৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। সেখানে খাবার, পানি, ওষুধ এবং নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।
ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ইউএনওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) অনুমান করছে যে, গাজার প্রায় ১২ লাখ শিশুর এখন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা প্রয়োজন।
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            