ইরানের ফোরদো, নাতান্জ ও ইস্ফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার (২১ জুন) রাতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়েই গত ১০ দিন ধরে চলা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়লো ট্রাম্প প্রশাসন। এরই জবাবে রবিবার (২২ জুন) সকালে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান।
আল-জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাযেলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, রবিবার সকালে ইরান থেকে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।এ হামলাকে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরানের প্রথম সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
ইরানি হামলার কথা স্বীকার করে আইডিএফ ইসরায়েলি বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ও উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।
এ ঘোষণার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বেসামরিক নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে আইডিএফ জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলে ছোড়া দুটি ড্রোন কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
এর আগে ইরানের ড্রোন হামলার কারণে দক্ষিণ আরাভা অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।
আইডিএফের দাবি, ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে ড্রোনগুলো কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়। যার অর্থ সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর আগেই সেগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরেই গোলান মালভূমির ওপর ইরানের আরেকটি ড্রোন আটক করা হয়।
মূলত ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই হামলা আরো একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে শনিবার রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর পরিস্থিতি আরো অস্থির হয়ে উঠেছে।
আমারবাঙলা/জিজি