চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা জাহাজের নাবিক আব্দুর রহমান হত্যার দুই বছর পর মামলা হলেও তদন্তকারী সংস্থার অসহযোগিতার কারণে কোন অগ্রগতি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
শনিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। এ সময় মামলার ধীরগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থা সিটিটিসি’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও অসদাচরনের অভিযোগ তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন মৃত আব্দুর রহমানের বড় ভাই হালিমুর রশিদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২২ সালের ১ জুন চীনের জলসীমায় হক অ্যান্ড সন্সের একটি জাহাজে মারা যায় আব্দুর রহমান। প্রায় ৪০ দিন পর একই বছরের ১০ জুলাই আব্দুর রহমানের মরদেহ দেশে আসে। পরে ময়না তদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২৪ সলের ২৬ জুন ঢাকার বিমান বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসিকে। কিন্তু সিটিটিসি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে মামলা রুজুর আট মাসেও কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, জাহাজটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হক অ্যান্ড সন্সের কর্মকর্তারা আব্দুর রহমানের পরিবারক বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি বিষয়টি মীমাংসা করে নেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহমানে মা আম্বিয়া খাতুন বলেন, আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। পাশাপাশি আমার ছেলেদের হয়রানী করা হচ্ছে এবং হুমকি দেয়া হচ্ছে তার অবসান চাই। আব্দুর রহমানের স্ত্রী মাহমুদা নূরে নাহরীন বলেন, স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছিল আমার। তিনি বারবার বলছিলেন, জাহাজের ত্রুটির কথা বলায় কয়েকজন তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। ওই ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরাই আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।
অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিটিটিসি’র উপ-পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন দাবি করেন, এজাহার নামীয় ৫ আসামীর মধ্যে তিন জন জামিন নিয়েছেন। বাকী দুজন দেশের বাইরে আছে। তবে মামলার তদন্তকাজ চলছে। ঘটনাস্থল দেশের বাইরে জলসীমায় হওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত মামলা কোন পর্যায়ে পৌছতে পারে নি বলেও স্বীকার করেছেন তিনি।
আমারবাঙলা/ইউকে
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            