আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানে প্রায় একমাস বন্দি থাকার পরে অবশেষে মুক্তি পেলেন পাঁচ ভারতীয় নাবিক। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইরান থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তারা। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইরান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এমএসসি এরিসের ৫ জন নাবিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় তারা ইরান থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতার জন্য আমরা ইরানের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
ভারতে ইরানের রাষ্ট্রদূত ইরাজ এলাহি জানিয়েছেন, জাহাজটিতে থাকা বাকি ভারতীয় ক্রুদের আটক করা হয়নি। তারা যে কোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।
গত ১৩ এপ্রিল দুবাইয়ের উপকূলে একটি ইসরায়েলি কার্গো জাহাজ আটক করে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। ওই জাহাজে ক্রুদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয় ছিলেন। তাদের সবাইকে আটক করে আইআরজিসি।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে বন্দি নাবিকদের মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করে ভারত। ইরানে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনকলে কথা বলেন।
শেষেমেশ বৃহস্পতিবার ইরানে ভারতীয় দূতাবাস জানায়, আটক ভারতীয়দের মধ্য় থেকে ৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা ওই দিন সন্ধ্যায় ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়টিকে ভারতের বড়সড় কূটনৈতিক সাফল্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা গেছে, আটক হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই অ্যান টেসা জোসেফ নামক কেরালার এক নারী নাবিককে মুক্তি দেয় ইরান। ভারতে ফিরে টেসা জানিয়েছিলেন, বন্দি থাকলেও ভারতীয় নাবিকদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তখনই জানা গিয়েছিল, আটক বাকি ১৬ নাবিককেও দ্রুত মুক্তি দেবে তেহরান। নাবিকদের জন্য কনসুলার অ্যাক্সেসের ব্যবস্থাও করা হয়। সূত্র: এনডিটিভি
এবি/এইচএন
 
                                    
                                 
                 
                     
                     
                         
                                                     
                         
                                                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                            